শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন
মুফতি মাহবুব হাসান:
সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনা করার জন্য সতেজ হৃদয়ের খুব প্রয়োজন। দেহকে সজীব ও প্রাণবন্ত রাখার জন্য যেমন খাবারের প্রয়োজন, তেমনি হৃদয় বা আত্মাকে সতেজ রাখার জন্যও বিশেষ খাবারের প্রয়োজন হয়। হৃদয়ের এ সতেজতার খাবার বাহ্যিক নয় বরং তা আধ্যাত্মিক। আর আত্মার সেই আধ্যাত্মিক খাবার হলো মহান প্রভুর জিকির করা। অর্থাৎ মহান আল্লাহর স্মরণে হৃদয়কে জীবিত রাখা। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘যারা ইমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়। জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই শুধু চিত্ত প্রশান্ত হয়।’ -সুরা রাদ, আয়াত ২৮
এ আয়াত থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, মহান আল্লাহর স্মরণে হৃদয় প্রশান্ত হয়, আত্মায় সতেজতা ফিরে আসে। তাই আমরা যদি আমাদের আত্মাকে সতেজ রাখতে চাই তবে সব সময় তাকে স্মরণ রাখতে হবে। কেননা আমরা তাকে স্মরণ করলে তিনিও আমাদের স্মরণ করবেন বলে কোরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে এভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং অকৃতজ্ঞ হয়ো না।’ -সুরা বাকারা, আয়াত ১৫২
মহান আল্লাহ বান্দাকে কীভাবে স্মরণ করেন, সে বিষয়টি সুস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে হাদিসে কুদসিতে। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বান্দা মহান আল্লাহকে যেভাবে স্মরণ করেন, আল্লাহতায়ালাও বান্দাকে সেভাবে স্মরণ করেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মানুষ! যদি তুমি আমাকে মনে মনে স্মরণ করো, তবে আমি তোমাকে মনে মনে স্মরণ করব। আর যদি তুমি আমাকে কোনো বৈঠকে স্মরণ করো তবে আমি তাদের চেয়েও উত্তম বৈঠকে তোমার স্মরণ করব।’ -কানজুল উম্মাল
হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নীরবে বসে আল্লাহর জিকির করে আর তার চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হতে থাকে, মহান আল্লাহও তাকে তার রহমতের ছায়ায় আশ্রয় দান করবেন।’ -সহিহ বুখারি
তাই আসুন, আত্মার মরীচিকা দূর করার জন্য বেশি বেশি মহান আল্লাহকে স্মরণ করি। কেননা মহান আল্লাহর স্মরণেই আত্মা সতেজ হয়। আল্লাহতায়ালা আমাদের সর্বদা তার স্মরণে আমাদের জীবন অতিবাহিত করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
ভয়েস/আআ